বাস্থ্যখাতে, বিশেষ করে প্রসূতিসেবা খাতে বাংলাদেশের অর্জন অনেকটাই আলোর মুখদেখেছে। ‘বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা জরিপ ২০১০’ এর প্রতিবেদনেউল্লেখ করা হয়েছে, দেশে মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। এখন এক লাখে ১৯৪ জনমায়ের মৃত্যু হয়। ২০০১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩২২ জন। অর্থাৎ গত এক দশকেরমাতৃৃমৃত্যু হার ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) গবেষণায় দেখা যায়, ২০০১ সালে মাতৃমৃত্যু নিয়ে যখনপ্রথম জরিপ হয়, তখন গর্ভধারণকালে লাখে ৭১, প্রসবকালে লাখে ৩৬ এবংপ্রসবোত্তরকালে লাখে ২১৬ প্রসূতির মৃত্যু হতো। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসবকরানোর হার আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ে ব্যক্তিমালিকানা অর্থাৎবেসরকারি ক্লিনিকে প্রসূতিকে ভর্তি করানোর হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হার এখন১১ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০০১ সালে ছিল মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রসব জটিলতারজন্য ২০০১ সালে সেবা খুঁজত ৫৩ শতাংশ মানুষ। এখন তা ৫৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
এবিষয়েসংশ্লিষ্টরা বলেন, মাতৃমৃত্যুর হার কমছে এটা যেমন আনন্দের, তেমনি যতক্ষণপর্যন্ত সন্তান প্রসবকালে একজন মায়েরও মৃত্যু হবে না, সেটি আমাদের লক্ষ্য ওকাম্য। স্বাস্থ্যসেবা নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানো নাগেলে এবং স্বাস্থ্যসেবা সুলভ না হলে কাক্সিক্ষত সাফল্য আসবে না। এ ক্ষেত্রেসাফল্যের দিকে চলছে দেশ। সরকার এর জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক চালু ওপ্রশিক্ষিত ধাত্রী তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
- See more at: http://www.alokitobangladesh.com/development-possibility/2013/11/12/33613#sthash.YwMBAzoo.dpuf
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস